স্পোর্টস ডেস্ক :
আফগানিস্তানের এই জয়ে সুপার এইটের গ্রুপ ১ থেকে সেমি ফাইনালে ওঠার আশা কিঞ্চিৎ হলেও বেঁচে রইল বাংলাদেশের। আজ জিতলেই সেমি ফাইনাল নিশ্চিত, এমন সহজ সমীকরণ ছিল অস্ট্রেলিয়ার জন্য। তবে এখন ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এক গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় ইনিংসের কাছে হেরে গেছিল আফগানিস্তান। আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আফগানদের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল, কিন্তু সেদিনের মতো আর পারলেন না অজি অলরাউন্ডার। আফগানিস্তান তুলে নিয়েছে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টি। অস্ট্রেলিয়াকে সুপার এইটের ম্যাচে ২১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সেমি ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছে রশিদ খানের দল।
আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান ১৪৮ রান তোলে। আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ ভালো হওয়ায় যা লড়াই করার মতোই পুঁজি ছিল। সেটিকেই অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিন করে তুললেন গুলবদিন নাইব-নাভিন উল হক রা। অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেল ১২৭ রানেই। তাতে ২১ রানের জয় পেল আফগানিস্তান।
১৪৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট করতে নামা অজিদের ইনিংসের দিকে তাকালে এক ম্যাক্সওয়েল ছাড়া আর কারোরই রান বলার মতো নয়। দলের খাতার কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই বিদায় ট্রাভিস হেডের, ৩২ রানের মধ্যে ডেভিড ওয়ার্নার আর অধিনায়ক মিচেল মার্শও ফিরে যান। এরপর পরিস্থিতি সামাল দেন ম্যাক্সওয়েল ও স্টয়নিস। দুজনের ৩৯ রানের জুটিতে ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার দিকে হেলে যাচ্ছিল। কিন্তু স্টয়নিস ১১ রান করে ফিরে যাওয়ার পর আবার ভাঙন শুরু হয় অজি ইনিংসে।
স্রোতের বিপরীতে একাই লড়াই চালান ম্যাক্সওয়েল। ঠিক যেমন ২০২৩ বিশ্বকাপে করেছিলেন। তবে এবার আর পারলেন না। ৪১ বলে ছয় চার আর তিন ছয়ে ৫৯ রান করে ম্যাক্সওয়েলের বিদায়ের পর ম্যাচ আফগানিস্তানের হাতে চলে যায়। সেখান থেকে কাজ শেষ করতে ভুল করেনি রশিদ খানের দল। অজিদের মূল সর্বনাশ করেছেন গুলবদিন নাইব। অষ্টম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে ২০ রান দিয়ে চারটি মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার। ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট আরেক পেসার নাভিন উল হকের।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করে ১৪৮ রান তোলে আফগানিস্তান। যার ১১৮ রানই এসেছে উদ্বোধনী জুটিতে। ৯৫ বলে এই জুটি গড়েন গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ৪৯ বলে সমান চারটি করে চার ও ছয়ে ৬০ রান আসে গুরবাজের ব্যাট থেকে। ৪৮ বলে ছয় চারে ৫১ রান করেছেন ইব্রাহিম জাদরান। আফগানিস্তানের ইনিংস শেষ দিকে ডানা মেলতে দেননি প্যাট কামিন্স। আগের ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা অজি পেসার এই ম্যাচেও করেছেন হ্যাটট্রিক। প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ও সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুটি হ্যাটট্রিক করা চতুর্থ বোলার কামিন্স। আগের তিন জন শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা, নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি ও মাল্টার ওয়াসিম আব্বাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অষ্টম হ্যাটট্রিক এটি। সবশেষ দুটিই কামিন্সের। এই ৮ হ্যাটট্রিকের ৪টিই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-